Handicraft

A handicraft, sometimes more precisely expressed as artisanal handicraft or handmade, is any of a wide variety of types of work where useful and decorative objects are made completely by one’s hand or by using only simple, non-automated related tools like scissors, carving implements, or hooks. It is a traditional main sector of craft making and applies to a wide range of creative and design activities that are related to making things with one’s hands and skill, including work with textiles, moldable and rigid materials, paper, plant fibers,clay etc. One of the oldest handicraft is Dhokra; this is a sort of metal casting that has been used in India for over 4,000 years and is still used. In Irnian, women still make red ware hand made pottery with dotted ornaments much similar to the 5000 year old pottery tradition of Kalpurgan, an archaeological site near the village. Usually, the term is applied to traditional techniques of creating items (whether for personal use or as products) that are both practical and aesthetic. Handicraft industries are those that produce things with hands to meet the needs of the people in their locality without using machines.

Collective terms for handicrafts include artisanry, crafting, and handcrafting. The term arts and crafts is also applied, especially in the United States and mostly to hobbyists’ and children’s output rather than items crafted for daily use, but this distinction is not formal, and the term is easily confused with the Arts and Crafts design movement, which is in fact as practical as it is aesthetic.

Handicraft has its roots in the rural crafts —the material-goods necessities—of ancient civilizations, and many specific crafts have been practiced for centuries, while others are modern inventions or popularizations of crafts which were originally practiced in a limited geographic area.

Many handcrafters use natural, even entirely indigenous, materials while others may prefer modern, non-traditional materials, and even upcycle industrial materials. The individual artisanship of a handcrafted item is the paramount criterion; those made by mass production machines are not handicraft goods.

Seen as developing the skills and creative interests of students, generally and sometimes towards a particular craft or trade, handicrafts are often integrated into educational systems, both informally and formally. Most crafts require the development of skill and the application of patience but can be learned by virtually anyone.

Like folk art, handicraft output often has cultural and/or religious significance, and increasingly may have a political message as well, as in craftvism. Many crafts become very popular for brief periods of time (a few months, or a few years), spreading rapidly among the crafting population as everyone emulates the first examples, then their popularity

প্রতিবন্ধীদের স্বাবলম্বী করছে শিপ্ত

প্রতিবন্ধী কথাটা শুনলেই চোখের সামনে কোন এক অসহায় মানুষের ছবি ভেসে ওঠে। ধরেই নেওয়া হয় তাদের দ্বারা কিছুই হবে না, ঘরের কোণে পড়ে থাকা বা রাস্তায় ভিক্ষা করার জন্যই তাদের জন্ম। কিন্তু না তারা আজ আর বসে নেই। লেখাপড়া এবং চাকরিতে একজন স্বাভাবিক মানুষের মতো তাদেরও সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু স্কুল কলেজ এবং চাকরি ক্ষেত্রে তাদের সুযোগ সুবিধা না থাকায় পিছিয়ে পড়েছে তারা।
এই সকল ধারণাকে ভেস্তে দিয়ে, আত্মনির্ভরশীল হওয়ার প্রত্যয়, ছুটে চলেছে চাকরিতে তৈরি করছে সুনিপুণ বিশ্বমানের সকল হস্তশিল্প। পাট, হোগলা, পাতা, ছন, কাশিয়া এইসব ব্যবহার করে তৈরি করছে বিভিন্ন ধরনের বাস্কেট, ব্যাগ, কার্পেট ও বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম। পরিবারের আরেকজন উপার্জনক্ষম সদস্যর মত সংসারের চাকা ঘোরাতে নিজেকে আত্মনিয়োগ করছে। আর তাদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ করছে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার এস এন্ড এস হ্যান্ডিক্রাফট বিডি ১০০ জন প্রতিবন্ধী মানুষ নিয়ে ২০২০ সালে যাত্রা শুরু করে মোস্তাফিজুর রহমান শিপ্ত নামে একজন তরুণ উদ্দোক্তা।

প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে অনেক আগে থেকেই ছিলো শিপ্তর। পড়াশুনা শেষ করে একটি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি নিয়েছিলেন তিনি। করোনায় সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি তার পুরনো সেই ইচ্ছাকে জাগিয়ে তুলতে চাচ্ছিলেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি এ উদ্যোগটি হাতে নেন। প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন সংস্থা থেকে তাদের খুঁজে খুঁজে বের করেন শিপ্ত। এরপর তাদেরকে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের মাধ্যমে কাজে দক্ষ করে তুলেন। প্রথমদিকে তাদেরকে সাইটসেইভারস এবং ইউনিকেইডের অর্থায়নে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অতঃপর তাদের দক্ষ হাত দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের সব হ্যান্ডিক্রাফট এবং তা গুঞ্জন ও ড্রিমস থ্রেড নামক ফেসবুক ভিত্তিক অনলাইন শপের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে। যার লভ্যাংশের অনেকটাই পাচ্ছেন তারা। আর এভাবেই তাদের জন্য কর্মক্ষেত্রের নতুন এক জায়গাও তৈরি হয়েছে।

নিউজ সূত্র: https://businessbangladesh.com.bd/article/201634?fbclid=IwAR0Fpu7r9-2IydrAI9i2OiYeweW7qBCxfo62yE3INNxob7QG6PI103tKDmU

প্রতিবন্ধীদের স্বাবলম্বী করছেন শিপ্ত

প্রতিবন্ধী কথাটা শুনলেই চোখের সামনে কোনো এক অসহায় মানুষের ছবি ভেসে ওঠে। ধরেই নেওয়া হয় তাদের দ্বারা কিছুই হবে না! কিন্তু না, তারা আজ আর বসে নেই। লেখাপড়া এবং চাকরিতে একজন স্বাভাবিক মানুষের মতো তাদেরও সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার অধিকার রয়েছে। আত্মনির্ভরশীল হওয়ার প্রত্যয়ে ছুটে চলেছে সুনিপুণ বিশ্বমানের হস্তশিল্প তৈরিতেও। তাদের অনেকে পাট, হোগলা, পাতা, ছন, কাশিয়া এসব ব্যবহার করে তৈরি করছে বিভিন্ন ধরনের বাস্কেট, ব্যাগ, কার্পেট ও বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম। আর তাদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ করছেন নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার S&S Handicraft BD. ১০০ জন প্রতিবন্ধী মানুষ নিয়ে ২০২০ সালে যাত্রা শুরু করেন মোস্তাফিজুর রহমান শিপ্ত নামে একজন তরুণ উদ্যোক্তা।

প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে অনেক আগে থেকেই ছিল শিপ্তর। পড়াশোনা শেষ করে একটি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি নিয়েছিলেন। কিন্তু করোনায় সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি তার পুরনো সেই ইচ্ছাকে জাগিয়ে তুলতে চাচ্ছিলেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি এ উদ্যোগটি হাতে নেন। প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন সংস্থা থেকে তাদের খুঁজে বের করেন শিপ্ত। এরপর তাদেরকে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের মাধ্যমে কাজে দক্ষ করে তুলেন। প্রথমদিকে তাদেরকে Sightsavers এবং UKaid-এর অর্থায়নে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অতঃপর তাদের দক্ষ হাত দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের সব হ্যান্ডিক্রাফট এবং তা Dreams Thread নামক ফেসবুক ভিত্তিক অনলাইন শপের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে। যার লভ্যাংশের অনেকটাই পাচ্ছেন তারা। আর এভাবেই তাদের জন্য কর্মক্ষেত্রের নতুন এক জায়গাও তৈরি হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী অসহায় মানুষদের কর্মক্ষম ও স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে বিনামূল্যে তাদেরকে হস্তশিল্প ও কুটিরশিল্প কাজ প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। যাতে করে আমাদের প্রতিবন্ধী ভাই-বোনদের কেউ অবহেলা না করতে পারে।

নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার ইটাখোলায় তরুণ উদ্যোক্তা মোস্তাফিজুর রহমান শিপ্ত প্রতিবন্ধীদের স্বাবলম্বী করতে পাটজাত পণ্য ও হস্তশিল্প তৈরির প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন।

শিপ্ত বলেন, ‘একটাই স্বপ্ন বাংলাদেশের সকল অসহায় প্রতিবন্ধীরা যাতে সমাজের জন্য বোঝা না হয়ে সমাজে সম্পদ হিসেবে তৈরি হয়। এই ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে তারা পাটের ও হাতে তৈরি নানা পণ্যের কাজ শিখতে পেরেছে। বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি হ্যান্ডি ক্রাফট তৈরিকারক কোম্পানিগুলোর কাছে আবেদন— তারা যেন আমাদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করে।’

নিউজ সূত্র: https://www.ittefaq.com.bd/print-edition/features/generation/234837/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4?fbclid=IwAR3vQMhGc0N_NP_xnTiiaosgrmZ_vSungUVIYEQ60EUfLtzsr7cx-WKghy8

প্রতিবন্ধীদের স্বাবলম্বী করছেন শিপ্ত

প্রতিবন্ধী কথাটা শুনলেই চোখের সামনে কোনো এক অসহায় মানুষের ছবি ভেসে ওঠে। ধরেই নেওয়া হয় তাদের দ্বারা কিছুই হবে না, ঘরের কোণে পড়ে থাকা বা রাস্তায় ভিক্ষা করার জন্যই তাদের জন্ম। কিন্তু না, তারা আজ আর বসে নেই। লেখাপড়া ও চাকরিতে একজন স্বাভাবিক মানুষের মতো তাদেরও সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু স্কুল কলেজ ও চাকরির ক্ষেত্রে তাদের সুযোগ-সুবিধা পর্যাপ্ত না থাকায় পিছিয়ে পড়েছে তারা।

এই সব ধারণাকে ভেস্তে দিয়ে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার প্রত্যয়ে ছুটে চলেছে চাকরিতে, তৈরি করছে সুনিপুণ বিশ্বমানের সব হস্তশিল্প। পাট, হোগলা পাতা, ছন, কাশিয়া এগুলো ব্যবহার করে তৈরি করছে বিভিন্ন ধরনের বাস্কেট, ব্যাগ, কার্পেট ও বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম। পরিবারের আরেকজন উপার্জনক্ষম সদস্যর মতো সংসারের চাকা ঘোরাতে নিজেকে আত্মনিয়োগ করছে। আর তাদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ করছে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার ‘S&S Handicraft BD’। ১০০ জন প্রতিবন্ধী মানুষ নিয়ে ২০২০ সালে যাত্রা শুরু করে এই প্রতিষ্ঠানটি। আর এর সফল উদ্যোক্তা মোস্তাফিজুর রহমান শিপ্ত।

প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা অনেক আগে থেকেই ছিল শিপ্তর। পড়াশোনা শেষ করে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি নিয়েছিলেন তিনি। করোনায় সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি তার পুরনো সেই ইচ্ছাকে জাগিয়ে তুলতে চাচ্ছিলেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি এ উদ্যোগটি হাতে নেন। প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন সংস্থা থেকে তাদের খুঁজে খুঁজে বের করেন শিপ্ত। এরপর তাদের অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের মাধ্যমে কাজে দক্ষ করে তোলেন।

প্রথম দিকে তাদের Sightsavers এবং UKaid এর অর্থায়নে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অতঃপর তাদের দক্ষ হাত দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের সব হ্যান্ডিক্রাফট। এগুলো Gunjon গুঞ্জন ও Dreams Thread নামক ফেসবুক ভিত্তিক অনলাইন শপের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে। যার লভ্যাংশের বেশিরভাগই পাচ্ছেন তারা। আর এভাবেই তাদের জন্য কর্মক্ষেত্রের নতুন এক জায়গাও তৈরি হয়েছে।

S&S Handicraft BD’ বাংলাদেশে এই প্রথম প্রতিবন্ধী অসহায় মানুষকে কর্মক্ষম ও স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে বিনামূল্যে তাদের হস্তশিল্প ও কুটির শিল্পের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। এতে আমাদের প্রতিবন্ধী ভাই-বোনদের কেউ অবহেলা না করতে পারে। তারা যাতে সমাজে জন্য বোঝা না হয়ে সমাজের উন্নয়ন ও পারিবারিক সক্ষমতায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে পারে। নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার ইটাখোলায় তরুণ উদ্যোক্তা মোস্তাফিজুর রহমান শিপ্ত প্রতিবন্ধীদের স্বাবলম্বী করতে পাটজাত পণ্য ও হস্তশিল্প তৈরির প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন।

উদ্যোক্তা মোস্তাফিজুর রহমান শিপ্ত বলেন, ‘আমার একটাই স্বপ্ন বাংলাদেশের সব অসহায় প্রতিবন্ধীরা যাতে সমাজের জন্য বোঝা না হয়ে সমাজের জন্য সম্পদ হিসেবে তৈরি হয়। তাদের যাতে কেউ অবহেলা করতে না পারে। প্রতিবন্ধীরা মনে করে যে, তারা মরে গেছেন। কিন্তু না, এ ধরনের মানুষ বাইরের দেশে কাজ করে খাচ্ছেন। এ কারণে আমার ২০২১ সালের উদ্দেশ্য হলো এ ধরনের মানুষকে স্বাবলম্বী করে তোলা। এই ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে তারা পাটের ও হাতে তৈরি নানা পণ্যের কাজ শিখতে পেরেছে। যা প্রতিবন্ধীদের স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।’

নিউজ সূত্র: https://www.risingbd.com/positive-bangladesh/news/402096

প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করছেন শিপ্ত

মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ, জবি : প্রতিবন্ধী কথাটা শুনলেই চোখের সামনে কোন এক অসহায় মানুষের ছবি ভেসে ওঠে। ধরেই নেওয়া হয় তাদের দ্বারা কিছুই হবে না, ঘরের কোণে পড়ে থাকা বা রাস্তায় ভিক্ষা করার জন্যই তাদের জন্ম। কিন্তু না তারা আজ আর বসে নেই। লেখাপড়া এবং চাকরিতে একজন স্বাভাবিক মানুষের মতো তাদেরও সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু স্কুল কলেজ এবং চাকরি ক্ষেত্রে তাদের সুযোগ সুবিধা না থাকায় পিছিয়ে পড়েছে তারা।

এই সকল ধারণাকে ভেস্তে দিয়ে, আত্মনির্ভরশীল হওয়ার প্রত্যয়, ছুটে চলেছে চাকরিতে তৈরি করছে সুনিপুণ বিশ্বমানের সকল হস্তশিল্প। পাট, হোগলা, পাতা, ছন, কাশিয়া এইসব ব্যবহার করে তৈরি করছে বিভিন্ন ধরনের বাস্কেট, ব্যাগ, কার্পেট ও বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম। পরিবারের আরেকজন উপার্জনক্ষম সদস্যর মত সংসারের চাকা ঘোরাতে নিজেকে আত্মনিয়োগ করছে। আর তাদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ করছেন নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার এস এন্ড এস হ্যান্ডিক্রাফট বিডি ১০০ জন প্রতিবন্ধী মানুষ নিয়ে ২০২০ সালে যাত্রা শুরু করে মোস্তাফিজুর রহমান শিপ্ত নামে একজন তরুণ উদ্দোক্তা।

প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে অনেক আগে থেকেই ছিলো শিপ্তর। পড়াশুনা শেষ করে একটি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি নিয়েছিলেন তিনি। করোনায় সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি তার পুরনো সেই ইচ্ছাকে জাগিয়ে তুলতে চাচ্ছিলেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি এ উদ্যোগটি হাতে নেন। প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন সংস্থা থেকে তাদের খুঁজে খুঁজে বের করেন শিপ্ত। এরপর তাদেরকে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের মাধ্যমে কাজে দক্ষ করে তুলেন। প্রথমদিকে তাদেরকে সাইটসেইভারস এবং ইউনিকেইডের অর্থায়নে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

অতঃপর তাদের দক্ষ হাত দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের সব হ্যান্ডিক্রাফট এবং তা গুঞ্জন ও ড্রিমস থ্রেড নামক ফেসবুক ভিত্তিক অনলাইন শপের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে। যার লভ্যাংশের অনেকটাই পাচ্ছেন তারা। আর এভাবেই তাদের জন্য কর্মক্ষেত্রের নতুন এক জায়গাও তৈরি হয়েছে।

এস এন্ড এস হ্যান্ডিক্রাফট বিডি বাংলাদেশে এই প্রথম প্রতিবন্ধী অসহায় মানুষদের কর্মক্ষম ও স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে বিনামূল্যে তাদেরকে হস্তশিল্প ও কুটিরশিল্পের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। যাতে করে আমাদের প্রতিবন্ধী ভাই বোনদের কেউ অবহেলা না করতে পারে। তারা যাতে সমাজে জন্য বোঝা না হয়ে, সমাজের উন্নয়ন ও পারিবারিক সক্ষমতায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে পারে। নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার ইটাখোলায় তরুণ উদ্যোক্তা মোস্তাফিজুর রহমান শিপ্ত প্রতিবন্ধীদের স্বাবলম্বী করতে পাটজাত পণ্য ও হস্তশিল্প তৈরির প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন।

তরুণ এই উদ্যোক্তা মোস্তাফিজুর রহমান শিপ্ত বলেন, “তরুণের একটাই স্বপ্ন বাংলাদেশের সকল অসহায় প্রতিবন্ধীরা যাতে সমাজের জন্য বোঝা না হয়ে সমাজের জন্য সম্পদ হিসেবে তৈরি হয়। তাদের যাতে কেও অবহেলা করতে না পারে। প্রতিবন্ধীরা মনে করে যে তারা মরে গেছেন। কিন্তু না এ ধরনের মানুষরা বাইরের দেশে কাজ করে খাচ্ছেন। এ কারণে আমার ২০২১ সালের উদ্দেশ্য হলো এ ধরনের মানুষদের স্বাবলম্বী করে তোলা। এই ট্রেনিং এর মাধ্যমে তারা পাটের ও হাতে তৈরি নানা পণ্যের কাজ শিখতে পেরেছে। যা প্রতিবন্ধীদের স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়া তাদের তৈরি পণ্যগুলোর কাঁচামাল আমরা সরবরাহ করবো ও পণ্যগুলো বিক্রির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হাতে তৈরি পণ্য একটি বিশেষ শিল্প। আমাদের দেশসহ বিদেশে এসব পণ্যের অনেক চাহিদা রয়েছে। আশা করা যায় এই হ্যান্ডিক্রাফটের পণ্য তৈরি করে তারা দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে।”

তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশের সরকারি এবং বেসরকারি হ্যান্ডি ক্রাফট তৈরিকারক কোম্পানিগুলো কাছে একটি আবেদন, যাতে করে তারা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায় এবং তার কর্মীদের নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করে।

নিউজ সূত্র: https://obhijatra.com

আত্মনির্ভরশীল হওয়ার প্রত্যয়, ছুটে চলেছে চাকরিতে তৈরি করছে সুনিপুণ বিশ্বমানের সকল হস্তশিল্প

মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ: প্রতিবন্ধী কথাটা শুনলেই চোখের সামনে কোন এক অসহায় মানুষের ছবি ভেসে ওঠে। ধরেই নেওয়া হয় তাদের দ্বারা কিছুই হবে না, ঘরের কোণে পড়ে থাকা বা রাস্তায় ভিক্ষা করার জন্যই তাদের জন্ম। কিন্তু না তারা আজ আর বসে নেই। লেখাপড়া এবং চাকরিতে একজন স্বাভাবিক মানুষের মতো তাদেরও সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু স্কুল কলেজ এবং চাকরি ক্ষেত্রে তাদের সুযোগ সুবিধা না থাকায় পিছিয়ে পড়েছে তারা।

এই সকল ধারণাকে ভেস্তে দিয়ে, আত্মনির্ভরশীল হওয়ার প্রত্যয়, ছুটে চলেছে চাকরিতে তৈরি করছে সুনিপুণ বিশ্বমানের সকল হস্তশিল্প। পাট, হোগলা, পাতা, ছন, কাশিয়া এইসব ব্যবহার করে তৈরি করছে বিভিন্ন ধরনের বাস্কেট, ব্যাগ, কার্পেট ও বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম। পরিবারের আরেকজন উপার্জনক্ষম সদস্যর মত সংসারের চাকা ঘোরাতে নিজেকে আত্মনিয়োগ করছে। আর তাদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ করছে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার এস এন্ড এস হ্যান্ডিক্রাফট বিডি ১০০ জন প্রতিবন্ধী মানুষ নিয়ে ২০২০ সালে যাত্রা শুরু করে মোস্তাফিজুর রহমান শিপ্ত নামে একজন তরুণ উদ্দোক্তা।

প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে অনেক আগে থেকেই ছিলো শিপ্তর। পড়াশুনা শেষ করে একটি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি নিয়েছিলেন তিনি। করোনায় সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি তার পুরনো সেই ইচ্ছাকে জাগিয়ে তুলতে চাচ্ছিলেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি এ উদ্যোগটি হাতে নেন। প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন সংস্থা থেকে তাদের খুঁজে খুঁজে বের করেন শিপ্ত। এরপর তাদেরকে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের মাধ্যমে কাজে দক্ষ করে তুলেন। প্রথমদিকে তাদেরকে সাইটসেইভারস এবং ইউনিকেইডের অর্থায়নে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অতঃপর তাদের দক্ষ হাত দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের সব হ্যান্ডিক্রাফট এবং তা গুঞ্জন ও ড্রিমস থ্রেড নামক ফেসবুক ভিত্তিক অনলাইন শপের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে। যার লভ্যাংশের অনেকটাই পাচ্ছেন তারা। আর এভাবেই তাদের জন্য কর্মক্ষেত্রের নতুন এক জায়গাও তৈরি হয়েছে।

এস এন্ড এস হ্যান্ডিক্রাফট বিডি বাংলাদেশে এই প্রথম প্রতিবন্ধী অসহায় মানুষদের কর্মক্ষম ও স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে বিনামূল্যে তাদেরকে হস্তশিল্প ও কুটিরশিল্পের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। যাতে করে আমাদের প্রতিবন্ধী ভাই বোনদের কেউ অবহেলা না করতে পারে। তারা যাতে সমাজে জন্য বোঝা না হয়ে, সমাজের উন্নয়ন ও পারিবারিক সক্ষমতায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে পারে। নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার ইটাখোলায় তরুণ উদ্যোক্তা মোস্তাফিজুর রহমান শিপ্ত প্রতিবন্ধীদের স্বাবলম্বী করতে পাটজাত পণ্য ও হস্তশিল্প তৈরির প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন।

তরুণ এই উদ্যোক্তা মোস্তাফিজুর রহমান শিপ্ত বলেন, “তরুণের একটাই স্বপ্ন বাংলাদেশের সকল অসহায় প্রতিবন্ধীরা যাতে সমাজের জন্য বোঝা না হয়ে সমাজের জন্য সম্পদ হিসেবে তৈরি হয়। তাদের যাতে কেও অবহেলা করতে না পারে। প্রতিবন্ধীরা মনে করে যে তারা মরে গেছেন। কিন্তু না এ ধরনের মানুষরা বাইরের দেশে কাজ করে খাচ্ছেন। এ কারণে আমার ২০২১ সালের উদ্দেশ্য হলো এ ধরনের মানুষদের স্বাবলম্বী করে তোলা। এই ট্রেনিং এর মাধ্যমে তারা পাটের ও হাতে তৈরি নানা পণ্যের কাজ শিখতে পেরেছে। যা প্রতিবন্ধীদের স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়া তাদের তৈরি পণ্যগুলোর কাঁচামাল আমরা সরবরাহ করবো ও পণ্যগুলো বিক্রির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হাতে তৈরি পণ্য একটি বিশেষ শিল্প। আমাদের দেশসহ বিদেশে এসব পণ্যের অনেক চাহিদা রয়েছে। আশা করা যায় এই হ্যান্ডিক্রাফটের পণ্য তৈরি করে তারা দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে।”

তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশের সরকারি এবং বেসরকারি হ্যান্ডি ক্রাফট তৈরিকারক কোম্পানিগুলো কাছে একটি আবেদন, যাতে করে তারা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায় এবং তার কর্মীদের নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করে।